“ডাকসু সম্পাদক জুমা কেন মাথা ঢাকলো?”—এই প্রশ্নের অধিকার মিডিয়ার নেই: ডা. মাহমুদা মিতু

নিজস্ব প্রতিবেদক:
“ডাকসু সম্পাদক জুমা কেন মাথা ঢাকলো?”—এই প্রশ্ন তোলার কোনো অধিকার মিডিয়ার নেই বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ডা. মাহমুদা মিতু।
তিনি বলেন, “মুসলমান হলে পর্দা ফরজ। এটা কোনো বিতর্কের বিষয় নয়। একজন নারী মাথা ঢাকলে সেটাকে সম্মানের চোখে দেখা উচিত এবং এটিকে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে নেওয়া উচিত।”
ডা. মিতু আরও বলেন, “কিছুদিন আগে বাংলাদেশে এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এমন এক পোশাক পরা হয়েছিল, যা দেশের সংস্কৃতি ও প্রেক্ষাপটে মারাত্মকভাবে অশ্লীল বলা যায়। কিন্তু তখন কোনো মিডিয়া প্রশ্ন করেনি। তাহলে জুমা যদি মাথা ঢাকে, কেন তাকেই প্রশ্ন করা হবে?”
তিনি বলেন, “তুমি জিন্স কেন পরো?” কিংবা “তুমি পর্দা করো না কেন?”—এই ধরনের প্রশ্নেরও কোনো বৈধতা নেই। আল্লাহ মানুষকে বিবেক ও স্বাধীনতা দিয়েছেন। সেই স্বাধীনতার ওপর অন্য কারও হস্তক্ষেপের অধিকার নেই।”
তবে তিনি মনে করেন, ইসলামি দাওয়াত ও পর্দার আহ্বান অবশ্যই দেওয়া যায়, কিন্তু তা হতে হবে প্রজ্ঞার সঙ্গে ও সম্মানজনকভাবে।
তার ভাষায়, “কেউ পর্দা না করলে তাকে অপমান করা গুনাহ। নসিহত তখনই ফলপ্রসূ হয়, যখন সেটা হৃদয়ে পৌঁছায়, কষ্ট দেয় না। আর যদি কিছুই করতে না পারেন, তার জন্য দোয়া করুন।”
ডা. মিতু বলেন, “যেভাবে ‘ওড়না কই’ বলা ছেলেটাকে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল, তেমনি ‘মাথা কেন ঢাকলেন’ প্রশ্ন তোলা গোষ্ঠীকেও একইভাবে সমালোচনায় রাখতে হবে।”
তিনি মনে করেন, সমাজে যে ‘হিজাবফোবিয়া’ তৈরি হয়েছে, তার বিরুদ্ধে এখনই দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।
শেষে তিনি বলেন, “আল্লাহ যাকে চান তাকেই হেদায়েত দেন। আমাদের কাজ হলো সবাইকে সম্মান করা, ইতিবাচক সমালোচনা করা ও দোয়া করা। বিচার করা আমাদের দায়িত্ব নয়।”