
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীরা যে কী পরিমাণ প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন, তার একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ তুলে ধরেছেন ডা. মাহমুদা মিতু। ছাত্রদলের কিছু নেতার অশালীন আচরণ ও অশ্রাব্য মন্তব্যের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।
ডা. মিতু জানান, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতার বাজে ও নোংরা মন্তব্য তিনি সহ্য করে আসছেন। কোনো রাজনৈতিক সমালোচনার জবাবে যুক্তি না দিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও অশ্রাব্য ভাষায় প্রতিনিয়ত তাঁকে হেয় করা হচ্ছে। এমনকি দলীয় সমালোচনার উত্তরে বিনা প্রয়োজনে তাঁর পোস্টে গালিগালাজ করা হচ্ছে, যা তিনি “টিপিকাল আওয়ামী লীগের কপি” বলেও উল্লেখ করেন।
স্ট্যাটাসে তিনি জানান, চন্দনাইশ উপজেলার ছাত্রদলের এক যুগ্ম আহ্বায়ক পর্যন্ত তাঁর সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন— “ছাত্রদলের পোস্টেড আমার মাঝখানে সিল মারতে কেন আসবে? আমি কী এমন অপরাধ করেছি যে আমাকে এমন কথা শুনতে হবে?”
ডা. মিতুর অভিযোগ, প্রতিবারই কিছু নেতাকর্মী তাঁর প্রতি অশালীন মন্তব্য ছুড়ে দিয়ে সীমা লঙ্ঘন করছে। অন্যের মেয়েকে গালি দিতে পারলেও নিজের প্রতি সামান্য সমালোচনা এলেই তারা ভদ্রতার পাঠ পড়াতে আসে। এমনকি তাঁর স্ট্যাটাসের অংশ কেটে বিকৃত ফটোকার্ড তৈরি করেও ছড়ানো হচ্ছে।
তিনি স্পষ্ট করে জানান, যারা অবমাননাকর মন্তব্য করবে, তিনি তাদের দল–মত নির্বিশেষে জবাব দিতে বাধ্য হবেন। তাঁর ভাষায়, “জাইমারাই দেশে মেয়ে, জাইমাদেরই শুধু সম্মান আছে—আমাদের নেই?”
এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। অনেকে মনে করছেন, রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব বাধাগ্রস্ত হওয়ার বড় কারণ হলো এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ ও হীন মানসিকতা।
ডা. মিতু বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারী নেতৃত্ব তৈরি না হওয়ার অন্যতম কারণ হলো এই মানসিকতা ও নারীদের প্রতি অশ্রদ্ধা।”



